কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী-৮ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গার ঘর থেকে অত্যাধুনিক গ্রেনেডসদৃশ (দেখতে আর্জেস গ্রেনেডের মতো) এক বস্তুর সন্ধান মিলেছে। এসময় ঘরের মালিক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নবীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গ্রেনেডটি নিয়ে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা গ্রেনেডটির ছবি দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন- তবে এটি ‘আর্জেস গ্রেনেড’ কিনা তা নিশ্চিত করে এখনো বলা যাচ্ছে না।
ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর ব্লক বি/৩৯ এ গ্রেনেডসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়া বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটির সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়েছে।
এর আগে একদল দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আহত হন গ্রেনেডসদৃশ বস্তু পাওয়া বসতঘরের মালিক মোহাম্মদ নবী। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত মোহাম্মদ নবী ক্যাম্প-৮ এর বি/৩৯ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী গতরাতে কালের কণ্ঠকে বলেন- ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর বি/৩৯ ব্লকে কথিত আরসা সদস্যদের ১০-১২ জনের একটি দল প্রবেশ করে ৫-৭ রাউন্ড গুলি করে। এতে রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার ঘরে গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি পাওয়া যায়।’ তিনি জানান, রামু ক্যান্টনমেন্ট থেকে আজ শনিবার সেনাবাহিনীর একটি দল আসবে গ্রেনেডটি ডিসপোজাল করার জন্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৮ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) ইনচার্জ (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আমীর জাফর বলেন- ‘ক্যাম্পের একটি বাসায় গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখে আপাতত আমরা বসতঘরটি ঘিরে রেখেছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ বিস্ফোরক দলকে ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ রোহিঙ্গাদের ধারণা- ‘দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু চক্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
পাঠকের মতামত